Salt Lake City Prayasam organizes inter-Salt Lake and Rajarhat audio-drama competition, namely SHONIBARER SHONABELA. It is an effort of Prayasam to create a positive diversion among the youth brigade who are glued to their mobile screens throughout the day with no other alternative. Listening to interesting stories will trigger their creative bend of mind to embark on something positive in their own little way, however minuscule that be.
২য় শনিবারের শোনাবেলা
‘মোদের গর্ব, মোদের আশা-সাবজেক্ট কম্বিনেশনে ঠাঁই পাচ্ছে না বাংলা ভাষা’, এই বক্তব্যটা আগে ঠাট্টার ছলে অনেকে বলতেন। কোথাও গিয়ে এই ঠাট্টা তরুণ প্রজন্মের কাছে বাস্তব? এটা শুধু বাংলার সমস্যা নয়। গোটা ভারতবর্ষের সমস্যা- অসমের সমস্যা, দক্ষিণ ভারতের সমস্যা। নিজেদের মাতৃভাষায় যেহেতু উচ্চশিক্ষা সম্ভব হচ্ছে না তাই আজকের প্রজন্ম এমন একটা ভাষা বেছে নিতে চাইছে যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের সুবিধা হয়। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নতুন ‘জেনারেশন’ মাতৃভাষাকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। বিষয়টা বাস্তব, তবে তা সময়ের দাবি বলা যেতে পারে। এখানে কাউকে দোষ দিলে হবে না। তবে সবাই যে এক ছাঁচে গড়া তা কিন্তু নয়। হিন্দিভাষীদের মধ্যেও কিন্তু এক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সরকার জোর করে হিন্দি চালানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সেখানেও এক সমস্যা। তবে এটা ঠিক, যে হিন্দি ছবির জন্য এই ভাষা অনেকটাই বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তবে বাঙালি বরাবর দ্বিভাষী ছিল। ব্রিটিশ আমলেও চাকরির জন্য ইংরেজি জানাটা ছিল বাধ্যতামূলক। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেই পরিশ্রমটা করতে চাইছে না। তাঁরা বাংলাটাকে উপেক্ষা করে ইংরেজির দিকে ঝুঁকছে। এটা ঠিক নয় বলে আমরা মনে করি।
বাংলা সাহিত্যকে এ প্রজন্মের আরও কাছে আনার জন্য, “শনিবারের শোনাবেলা-র” জন্ম । ইন্টারনেটে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য ইংরেজী শিক্ষার প্রভাব, দিন দিন বেশি করে ছড়াচ্ছে। ইন্টারনেট শিক্ষার ফলে, আমাদের ইন্টারনেট শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়, নানা রকমের নূতন ভাব ও অভিনব চিন্তার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। অথচ সেকালের চেয়ে, একালে, দেশে চিন্তাশীলের সংখ্যা বেড়েছে, জ্ঞানের জ্যোতি ছড়িয়েছে। তাও শিক্ষার অনুপাত অনুসারে ধরতে গেলে, সেকালের তুলনায়, একালের বাংলা-সাহিত্যকে অনেক দরিদ্র বলে মনে হয়। যুব সম্প্রদায়ের বাংলা-সাহিত্যে সেরকম মনোযোগ ও অনুরাগ নেই, এইজন্যই সাহিত্যের এমন দুর্দ্দশা ঘটেছে।
কিন্তু, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই, আমাদের বংলা সাহিত্য, তাঁদের সেই চিন্তাশক্তি ও ভাবুকতার ফল লাভে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। এখন যাঁরা ইংরাজী শেখেন, তাঁরা প্রায় বাংলা পড়েন না; বাংলা লেখেন না। বাংলা-সাহিত্যের শৈশব অবস্থায়, যাঁরা বাংলা-সাহিত্যের উন্নতির জন্য প্রাণপাত করেছিলেন, এখনও প্রায় তাঁরাই বাংলা লেখক। তাঁরা সাহিত্যক্ষেত্রে যে বীজ বপন করেছিলেন, তা অঙ্কুরিত হয়েছে সত্যি, কিন্তু কে তাতে জল দেবে ? তাঁরা যে কাজের সূত্রপাত করেছিলেন, কে তাকে পূর্ণ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে ? কারণ, তাঁদের পরে যাঁরা বাংলা লিখতে আরম্ভ করেছেন, তাঁদের সংখ্যা অতি অল্প। কৃতকার্য্য লেখকের সংখ্যা, আবার তার চেয়েও আরও অল্প।
এখন চিন্তার স্রোত অনেক পাল্টেছে, পুরানো যুগের লেখকদের মতের সঙ্গে, প্রায়ই বর্ত্তমান নতুন যুগের শিক্ষিত যুবদের মতবিরোধ চলে; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই, সাহিত্যের প্রশস্ত ক্ষেত্রে তার মীমাংসা হয় না। সুতরাং, প্রাচীন ও নবীন মতের বিরোধে যে শুভফল প্রত্যাশা করা যায়, আমাদের সাহিত্যে, সে শুভফলের সম্ভাবনা নেই। এইজন্য, আমরা সল্টলেকের শিক্ষিত বাসিন্দাদের এই শনিবারের শোনাবেলা –য় আসার জন্য অনুরোধ করেছি । তরুণসমাজের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের অন্যতম প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ধারণা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর ভিত্তিগত বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু এখানে বাকস্বাধীনতা আর সঙ্গে ‘নিজস্বতা’-কে উপস্থাপনের সুযোগের মত বিষয়গুলো বার বার যুবসমাজকে আকৃষ্ট করেছে। ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এবং হোয়াটসঅ্যাপে আমরা দেখেছি ডিজিটাল যোগাযোগের ব্যাপক অভিযোজন এবং আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের সঙ্গে গভীর সম্পৃক্তি। শুধু একটি শব্দের কি নিদারুণ শক্তি তা দেখিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
“বিদীর্ণ করেছি মাটি, দেখেছি আলোর আনাগোনা, শিকড়ে আমার তাই অরণ্যের বিশাল চেতনা”- সুকান্তের এই পংক্তি মনে করিয়ে দেয় ভবিষ্যতে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান হাতিয়ার আজকের তরুণসমাজ। তরুণরা তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়ে পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতে। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে দেশের যুবসমাজের প্রবল আগ্রহ অসংখ্যবার প্রতীয়মান হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন কেবল যুবসমাজের ক্ষমতায়নে সাহায্য করা এবং তাদের মেধা প্রকাশের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া। তরুণদের নতুন ধারার চিন্তাভাবনা ও ধারণা প্রকাশের জন্য দরকার যথার্থ ‘এক্সপোজার’, যা চিরতরে মুছে দেবে প্রথাগত চেতনাকে।
বছর কয়েক আগে ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’য় উৎসাহী কিছু মানুষ একসঙ্গে যে কাজ শুরু করেছিলো তা আজ বাঁকের পর বাঁক পেরিয়ে নতুন পথের সম্মুখীন। ক্রমশ বাড়ছে প্রয়াসম পরিবার। বাড়ছে কর্মকাণ্ডের পরিসর। সেই ছয়ের দশকে রেডিওতে বারোয়ারি কাহিনী শুনে যেমন মুগ্ধ হতেন আপামর বাঙ্গালি, আমাদের প্রয়াসম ভিস্যুয়াল বেসিকস চেষ্টা চালাচ্ছে ফিরিয়ে আনার সেই দিনগুলোকে। আমাদের ২য় শনিবারের শোনাবেলায় যেমন আছেন লীলা মজুমদার ঠিক তেমন ভাবেই রয়েছেন ঝুম্পা লাহিড়ী। ২য় শনিবারের শোনাবেলা-য় ১০জন বাঙ্গালি প্রতিভাময়ী লেখিকার গল্পের নাট্যরূপ শোনার প্রতীক্ষায় রয়েছি আমরা।
১। অডিওড্রামা প্রতিযোগিতা ভার্চুয়াল হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই অডিওড্রামা রিলিজ হবে।
২। গল্প এইসব লেখিকাদের লেখা থেকেই বাছতে হবে - আশাপূর্ণা দেবী , লীলা মজুমদার , মহাশ্বেতা দেবী , সুচিত্রা ভট্টাচার্য , নবনীতা দেবসেন, অনীতা অগ্নিহোত্রী, তিলোত্তমা মজুমদার , ঝুম্পা লাহিড়ী , তসলিমা নাসরিন , বাণী বসু। পুরো গল্প বা গল্পের অংশবিশেষ পাঠ করা যাবে। অন্য কোনো লেখক/লেখিকার গল্প বা অপ্রকাশিত গল্প পাঠ করা যাবে না।
৩। গল্পপাঠ ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই গ্রন্থকার, গল্প পরিচিতি ও প্রকাশক সম্পর্কে তথ্য জানানো বাঞ্ছনীয়।
৪। সর্বাধিক ৬ জনের একটি দল অংশ নিতে পারবেন।মিউজিসিয়ান বা অন্যান্য সহকারী এই ৬ জনের দলের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।
৫। অংশগ্রহণকারী দলের সকল সদস্য সংশ্লিষ্ট ব্লকের বাসিন্দা হওয়া বাঞ্ছনীয়।
৬। মূল রেকর্ডিংয়ের দিন ৩ ঘণ্টা সময় পাওয়া যাবে।কিভাবে রেকর্ডিং করা হবে তা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অডিওড্রামা এডিটিংয়ের সময় অংশগ্রহণকারী দলের কোনো একজন সদস্য গল্পটি একবার শুনে নেবেন।
৭।আলাদা কোনো মিউজিক বা সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করলে তা যেন কপিরাইট মুক্ত হয়। না হলে রিলিজের সময় অসুবিধা হতে পারে।
৮। প্রতিযোগিতা চলাকালীন পোস্টার, প্রচার ভিডিও তৈরির জন্য আবেদনকারী দলকে প্রয়াসম্ ভিস্যুয়াল বেসিকসের সাথে সহযোগিতা করা বাঞ্ছনীয়।
৯। অডিওড্রামা আগামী সেপ্টেম্বার, ২০২২ থেকে প্রতি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রয়াসম্ ভিস্যুয়াল বেসিকস্ ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ হবে।
১০। বিজয়ীদলকে পুরস্কৃত করা হবে - প্রথম পুরস্কারঃ ৫০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারঃ ৩০০০ টাকা, তৃতীয় পুরস্কারঃ ২০০০ টাকা। এছাড়াও প্রশংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
১১। বিজয়ী ৩ টি দলকে ডিসেম্বার মাসে 'প্রতিদিন প্রয়াসম্ প্রণাম' সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের অডিওড্রামাটি মঞ্চস্থ করতে হবে। অনুষ্ঠানের তারিখ পরে জানানো হবে।
১২। এই আবেদন পত্র ভর্তি করে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫শে মার্চ, ২০২২।
১৩। আরও কোনো তথ্য জানতে হলে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে -
+91 8697983001
+91 8697983008
+91 33 40045956
সেরা অডিওড্রামা বাছাই পদ্ধতিঃ
১। প্রতিযোগিতায় থাকবে মোট ১০০ নম্বর।
২।সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত ভিউজ, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদির ভিত্তিতে থাকবে ৪০ শতাংশ নম্বর।
৩। অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ নম্বর পাওয়া যাবে ৭ জন বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে।
৪। বিচারক যে যে বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেবেন- অডিওড্রামা কতটা শ্রুতিমধুর হল, উচ্চারণ, বাচনভঙ্গী, রেকর্ডিং ও ফাইনাল প্রোডাকশান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা।