গতকাল সবে শেষ হয়েছে প্রতিদিন প্রয়াসম প্রণাম। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এই বছর আমাদের এই অনুষ্ঠানের বয়স হয়ে গেলো ৫ বছর।
আজ থেকে বছর পাঁচেক আগেও প্রয়াসমের একটা প্রথা চলতো ডিসেম্বর মাস জুড়ে - মাসব্যাপী খেলা, সারা মাস জুড়ে সবাইকে খেলতে হবে, ওই অফিসে এসে কাগজ কলম নিয়ে বসে পড়লাম বা কম্পিউটার খুলে কাজ শুরু করলাম তা চলবে না। কি থাকতোনা সে খেলাতে ক্রিকেট, ফুটবল, হাডুডু তো ছিলই, তার সঙ্গে নানা রকম লিডারশিপ গেম।
এইরে, আবার পুরোনো স্মৃতি লিখে ফেলছি।
মণীষ বলেছে শুধুমাত্র একসপ্তাহের একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখতে এবং তাতে কিছু বর্তমান ছবি দিতে ।
যাই হোক এখন অবশ্য বছরের একটা দিন আমরা খেলি, তবে সেটা সারা মাস জুড়ে নয় ।
গত পাঁচ বছর একমাস ধরে যেটা হচ্ছে সেটা হল প্রতিদিন প্রয়াসম্ প্রণাম।
একমাস ধরে কলাঞ্জলিতে চলে আমাদের এই অনুষ্ঠান। কলাঞ্জলি অর্থাৎ আমাদের আর্ট স্পেসে। এখানে সারা বছর নানান রকম প্রশিক্ষণ চলে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সেটা স্প্যানিশ গিটার হোক কিংবা নাচ, আঁকা, নাটক ইত্যাদি। আর ডিসেম্বারে চলে একমাস ব্যাপী অনুষ্ঠান যেখানে নানান প্রতিষ্ঠিত এবং উঠতি শিল্পীদের একটা সুযোগ করে দেওয়া হয় তাঁদের আর্ট ফর্মকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার।
আজ একটু হালকা মেজাজেই এসে বসলাম ওপেন স্পেসের বেঞ্চে। দেখি স্যার ইতিমধ্যেই রেডি হয়ে গিয়েছেন।
প্রয়াসমের এটা আর একটা প্রথা .....
যে যেখানেই থাকি না কেন বছরের প্রথমদিনে দেখা করা এবং একসঙ্গে খাওয়া। স্যার বিশ্বাস করেন যে
"A family who eats together , stays together"
তাই সেটা পয়লা বৈশাখ হোক বা জানুয়ারি একসঙ্গে খাওয়াটা এখন আমাদের অন্যতম প্রথা।
আজ প্রসাদ আমাদের জন্য নানান রকমের খাবারের আয়োজন করেছিল।
আজকের BRUNCH এর মেনুতে ছিলো Caponata / Horiatiki / Lime Potatoes / Rosemary Chicken / Sticky Rice and Bread / 2 types of Cake [Chocolate Zebra Cake + Orange Cake] / Chana Chakli / Sangria
বছরের প্রথম দিনে কৌশিক, চেতন ও স্নেহাশীষ এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়াতে আনন্দটা বেশ কয়েকগুন বেড়ে গেলো।
আজ আর আমার কথা বেশি না লিখে একবার শুনে নিই আমাদের চালিকা শক্তি, আমার মেন্টর শ্রী অম্লান কুসুম গাঙ্গুলী কি বললেন মণীষকে তাঁর উপলব্ধি প্রতিদিন প্রায়াসম্ প্রণাম নিয়ে।
আজ The Telegraph এ বিরাট করে বেরলো বালাই ষাট এর কথা। বালাই ষাট সম্পর্কে আমি পরে লিখবো এখন আপাতত The Telegraph এর লেখাটা এখানে পোস্ট করে রাখি বরঞ্চ ।